থানার ভিতর যেকোনো ধরনের অবৈধ লেনদেন এবং সেবা দিতে অনীহা প্রকাশের বিষয়টি নজরদারির মধ্যে আসতে চলেছে। এ লক্ষ্য নিয়েই ময়মনসিংহের ৪টি জেলার ৩৬টি থানায় চালু হলো রিমোট মনিটরিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। থানায় আসা সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে সে বিষয়টিও আইজিপির নজরে আসছে ক্যামেরার মাধ্যমে।
ডিউটি অফিসারের কক্ষ, হাজতখানা এবং সেন্ট্রিবক্স। এই তিনটি স্থানকে ঘিরেই আবর্তিত হয় থানার মূল কার্যক্রম। আর সেখানেই বসছে নজরদারির ক্যামেরা। থানা মনিটরিংয়ে বাংলাদেশে এ ধরনের সিস্টেম এটাই প্রথম। নতুন এ প্রযুক্তিতে চমকে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরাও।
অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বে অবহেলাসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ এসব স্থানকে কেন্দ্র করেই। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ময়মনসিংহ রেঞ্জে এই সিস্টেম কার্যকর করা হয়েছে।
ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিংয়ের পরও এসব স্থানে ঘটছে অপেশাদার ঘটনা। তবে এমন মনিটরিংয়ের খবরে সবচেয়ে খুশি সাধারন মানুষ।
থানাগুলোকে রিমোট মনিটরিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনার জন্য ময়মনসিংহ ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়ে বসানো হয়েছে অপারেশন্স কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার। এ সেন্টার থেকে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে থানাগুলোকে। বসেছে নাইট ভিশন মাল্টিকালার আইপি ক্যামেরা।
এসব ক্যামেরার ফুটেজ সরাসরি দেখা যাচ্ছে অপারেশন্স কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই ক্যামেরা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে আশপাশের দৃশ্যও দেখতে পাচ্ছে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়। এই বিষয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, বর্তমান আইজিপির ভিশন অনুযায়ী, পুলিশই হবে জণগনের প্রথম ভরসার স্থল।
তার দাবি, যখনই কোনো থানার কার্যক্রমে অসঙ্গতি চোখে পড়ছে তখনই তার স্ক্রিন শট নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।